দ্বিতীয় দফায় ঢাকা ছাড়লেন ১৭৭ ব্রিটিশ নাগরিক
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত আরও ১৭৭ জন ব্রিটিশ নাগরিক ঢাকা ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকা ত্যাগ করেন বলে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এছাড়া আগামী ২৫ ও ২৬ এপ্রিল আরও দু’টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে লন্ডনে যাবে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এসব ফ্লাইটে শুধুমাত্র ব্রিটিশ নাগরিকরাই ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে, ২১ এপ্রিল প্রথম দফায় ১৫৭ জন ব্রিটিশ নাগরিক লন্ডনের উদ্দেশে সিলেট ত্যাগ করেন।
গত ১৮ এপ্রিল ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, চারটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে ব্রিটিশ নাগরিকরা। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে এসব ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।
এতে বলা হয়, ব্রিটিশ পর্যটক, স্বল্পমেয়াদী দর্শনার্থী এবং তাদের ওপর সরাসরি নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য ঢাকা থেকে লন্ডন পর্যন্ত চারটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবছর দেড় লক্ষাধিক ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশ সফর করেন। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিমানের চলাচলে বিধিনিষেধের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ফেরার জন্য কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট নেই।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন জানান, তারা এই ফ্লাইটগুলোর ব্যয় যতটা পারে কম রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তবে কেউ ঢাকা বা সিলেট যেখান থেকেই যাত্রা করুক না কেন যুক্তরাজ্যে ফিরতে মাথাপিছু খরচ হবে ৬০০ পাউন্ড।
ব্রিটিশ হাই কমিশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যাতে যুক্তরাজ্য ফিরতে বিকল্প বাণিজ্যিক ফ্লাইট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিশ্চিত করার যায়।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যুক্তরাজ্যসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইট স্থগিতাদেশ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। চায়না সাউদার্ন এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এখনও চীনে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তবে সেগুলো কেবল চীনা নাগরিকদের জন্য।
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এর আগেও বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন।
জেপি/এফআর/এমকেএইচ