১৮৪ নমুনায় চট্টগ্রাম শূন্য, লক্ষ্মীপুরে এক

টানা কয়েক দিন কমতির পর গতকাল তিনজন শনাক্ত হলেও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম একেবারে শূন্যের কোটায় নতুন করোনা সংক্রমণ। তবে বিভাগের লক্ষ্মীপুরে আরও এক নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে নতুন ১৮৪ নমুনা পরীক্ষা হয়। এই ১৮৪ পরীক্ষায় চট্টগ্রামের কেউ না থাকলেও একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে লক্ষ্মীপুরে। তিনি ৩৭ বছর বয়সী যুবক।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির। বিষয়টি চট্টগ্রামের জন্য সুখকর এবং ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। পরীক্ষা শুরুর পর গত ২৯ দিনে চট্টগ্রামে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলো মোট ৪৩ জন।

চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। নগরীর দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাহফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হন বলে ধারণা করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি করোনা পজিটিভ আছেন। পরে ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় করোনারোগী শনাক্ত হন ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলে। তবে সম্প্রতি নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। আরও একটি পরীক্ষায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তাকে সুস্থ ঘোষণা করা হবে এবং পিতা-পুত্রকে রিলিজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুইজন করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এরপর ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনারোগী শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে উন্নীত হয়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওইদিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। এছাড়া এদিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করোনা আক্রান্ত হন।

১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। ১৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে এক চিকিৎসক, সাতকানিয়ার পাঁচ যুবক ও নগরের সাগরিকা এলাকার এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হন। এর পরের চারদিন ১৫, ১৬,১৭ ও ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় যথাক্রমে ৫, ১,১ ও ১ জনে।

তবে ১৯ এপ্রিল হঠাৎ আবারও চট্টগ্রামে বাড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন চারজনের শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এছাড়াও পুরোনো এক রোগীর আবারও পজিটিভ আসে। ২১ এপ্রিল নতুন একজন করোনা শনাক্ত হওয়ায় জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ জনে। ২২ এপ্রিল নতুন তিন করোনা শনাক্তে মোট রোগীর সংখ্যা হয় ৪৩ জন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, দুই বৃদ্ধ ও দুই নারীসহ মোট পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আইসোলশনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচজন। মৃত্যুর পর তাদের পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ১০ করোনা জয়ী নারীপুরুষ। ২৭ জন আইসোলেশনে ভর্তি আছেন।

আবু আজাদ/বিএ