২০০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দিলেন এমপি শবনম জাহান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে রাজধানীতে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষ। এসব অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের ঢাকার সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহাগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা। এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে জানান এই এমপি ।পুরো রমজান মাসে নিজ উদ্যোগে আরও চার হাজার পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দেবেন বলে তিনি জানান।

মহিলা আওয়ামী লীগের এই নেত্রী জানান, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিয়মিত এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। শনিবার কড়াইল বস্তিতে ১০০ দুস্থ নারীর মাঝে বিতরণ করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর ভাষানটেকে ৬০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দেন। ত্রাণের প্যাকেটে চাল-ডাল, তেলসহ রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যা দিয়ে একটি পরিবারের এক সপ্তাহ চলবে। সপ্তাহ খানেক আগে সরকারি বরাদ্দ থেকেও এই মাঠেই প্রায় ৩০০ পরিবারকে ত্রাণ দেন শবনম জাহান।

শবনম জাহান বলেন, গুলশান, বনানী, উত্তরা, বাড্ডা, কুড়িল, ভাষানটেক ক্ষিলখেতসহ বিভিন্ন জায়গায় আমার সংগঠন ও নিজের উদ্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। পাশাপাশি নগদ অর্থ দিয়েও সহায়তা করছি। মানুষের জীবন-জীবীকা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমার এই সাহায্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনায় স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশেও থমকে গেছে জীবন-জীবীকার চাকা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়। হতদরিদ্রদের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে করোনায় দরিদ্র হয়ে পড়া মানুষ। সবার সহযোগিতা ছাড়া এই মহাদুর্যোগ থেকে সরকার একা মানুষকে পরিত্রাণ দিতে পারবে না।

বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, যারা ত্রাণ আত্মসাত করেছে তারা দলের লোক হলেও শাস্তি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

জনপ্রতিনিদের বাদ দিয়ে আমলাদের দিয়ে সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এই এমপি বলেন, এর ফলে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হবে। কারণ, জনপ্রতিনিধিরা যেখানেই যান, সেখানেই কর্মী-সমর্থকসহ ব্যাপক জনসমাগম হয়ে যায়। আর এখন সময়টা ভিন্ন। আমাদের সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অন্যথায় এই ত্রাণের সাথে করোনাভাইরাসও ছড়িয়ে যাবে।

যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শবনম জাহান।

এমইউ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।