করোনা : পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থার ২৭ কোটি টাকার সহায়তা
অতীতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) তার সহযোগী সংস্থাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীতে সাহায্য করেছে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায়ও সংস্থাসমূহ দ্রুত, যথাযথ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের ত্রাণ ও অন্যান্য তৎপরতার পাশাপাশি অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সরকার নির্দেশিত অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব সংস্থা সঙ্কট পীড়িত মানুষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। তাই সহযোগী সংস্থাসমূহ নিজস্ব উদ্যোগে ইতিমধ্যে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে। সহযোগী সংস্থাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রায় তিন কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) পিকেএসএফ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থাগুলো এক লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি পরিবারের মধ্যে প্রায় আট কোটি ৫০ লাখ টাকার জরুরি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। এ পর্যন্ত সংস্থাগুলো প্রায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (যেমন হ্যান্ড গ্লাভস, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, পিপিই) বিভিন্ন ব্যক্তি ও সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে বিতরণ করেছে। এছাড়াও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের তহবিলে করোনা আক্রান্তদের সাহায্যার্থে প্রায় দুই কোটি সাত লাখ কোটি টাকা নগদ দেয়া হয়েছে।
উপর্যুক্ত সহায়তা ছাড়াও করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা-পরামর্শ দিতে কিছু সংস্থা নিজস্ব ডাক্তার ও নার্সদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এছাড়া কয়েকটি সংস্থা তাদের অফিস/ গেস্ট হাউস/ ট্রেনিং সেন্টারে ডাক্তার ও নার্সদের আবাসনের বন্দোবস্ত করেছে। কিছু সংস্থা করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।
সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কর্ম-এলাকাভুক্ত দরিদ্র মানুষদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সংস্থাগুলো তাদের স্ব-স্ব কর্ম-এলাকার মানুষের মাঝে জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস