নিয়োগ পেতে ৩৯তম বিসিএস উত্তীর্ণ ৬১ চিকিৎসকের আবেদন
৩৯তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস তথা বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মো. মিজানুর রহমানকে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগ দিতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গতবছর সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ পাননি তিনি। মেধা তালিকায় ৮০ নম্বরে থাকা এই চিকিৎসক পিএসসির সুপারিশ অনুযায়ী নিয়োগ পেতে জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েও ফল পাননি।
অথচ মেধা তালিকার আরও নিচে থাকা হাজারো চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সবমিলিয়ে, ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৪ হাজার ৭৩০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
আর এখনও নিয়োগ পাননি মিজানুর রহমান, সাদিয়া আফরিন, তানিয়া সুলতানা, এবিএম মেহেদী, মো. আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ৬১ জন চিকিৎসক। পিএসসির সুপারিশ থাকার পরও নিয়োগ না হওয়ায় ওই চিকিৎসকরা নিয়োগের জন্য গত ২৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন সচিব বরাবর আবেদন করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসককে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নিয়োগ দিতে ২০১৯ সালে সুপারিশ করে পিএসসি।
ওই সুপারিশের পর গত বছরের ১৮ নভেম্বর থেকে গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চার দফায় মোট ৪ হাজার ৭৩০ জনকে নিয়োগ দেয়। এখনও নিয়োগ পাননি ৬২ জন চিকিৎসক।
এ অবস্থায় সরকার ৩৯তম বিসিএস থেকে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের পর পিএসসি আরও দুই হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দিতে সুপারিশ পাঠিয়েছে। কিন্তু এই দুই হাজার চিকিৎসকের আগেই মেধা তালিকায় থাকা ৬২ জন চিকিৎসক এখনও নিয়োগ পাননি। এই ৬২ জনের মধ্যে ৬১ জন নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন সচিবের কাছে আবেদন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই ভয়ংকর সময়ে দায়িত্বশীল সকল নাগরিকদের সঙ্গে চিকিৎসকরাও এক গভীর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শতাধিক চিকিৎসকও রয়েছেন, যা খুবই উদ্বেগজনক। এছাড়াও অনেক চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা মনে করি, দেশের একজন সচেতন নাগরিক এবং চিকিৎসক হিসেবে বসে থাকতে পারি না। তাই আমরা দায়িত্ব পালন করতে চাই। এজন্যই আমরা মানবিক বিবেচনায় নিয়োগের জন্য আবেদন দিয়েছি।
এফএইচ/এফআর/পিআর