করোনায় সংকটে পড়েছে দেশের শ্রমজীবী মানুষ : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত এনেছে। ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে একযোগে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।’
আগামীকাল মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এ সংকট শিগগিরই কেটে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আমি ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মহান মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো শ্রম নিবিড় উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও হৃদ্যতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সমান্তরালে বাড়ছে শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার সংখ্যা। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ। দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি প্রদান, দক্ষতা বৃদ্ধি, সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক কল্যাণসাধন খুবই জরুরি।’
এইচএস/এফআর/এমকেএইচ