চৌগাছার ডা. নাহিদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে সোহরাওয়ার্দীতে ভর্তি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ০৫ জুন ২০২০

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত যশোরের চৌগাছা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাহিদ সিরাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়েছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

শুক্রবার (৫ জুন) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Top-Helicopter

আইএসপিআর জানায়, ডা. নাহিদকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যশোরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি মতিউর থেকে রাত ৮টা ২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় এবং রাত ৮টা ৫০ মিনিটে রাজধানীতে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার-এ অবতরণ করে। ডা. নাহিদের সাথে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসেন ডা. আনজুম সোনিয়া এবং ডা. উত্তম। বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার থেকে ডা. নাহিদকে নিয়ে যাওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ডা. নাহিদ সিরাজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে গত ৪ মে রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর ঠিক এক মাসের মাথায় গত ৪ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে দেয়া রিপোর্টে তাকে ‘করোনাভাইরাসমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার পরদিনই শাসকষ্ট অনুভব করলে ডা. নাহিদকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা আনা হলো।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জাগোনিউজকে বলেন, ‘চৌগাছা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) গত মাসের ৪ তারিখে করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপর থেকেই তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। শুক্রবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হলো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে।’

তাহলে কি করোনামুক্ত বলে ঘোষিত ডা. নাহিদের শরীরে ভাইরাস রয়ে গেছে?- এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন বলেন, ‘সেটা পরীক্ষা না করে এখনই বলা যাবে না।’

এর আগে চৌগাছার এক প্রসূতিকে ‘করোনামুক্ত’ ঘোষণা করে তার হাতে সনদ ও ফুল তুলে দিয়েছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন। কিন্তু ক’দিন পর জান্নাতি নামে সেই প্রসূতির নমুনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে। গত ৯ মে করোনাভাইরাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি যশোরের বেসরকারি জেনেসিস হসপিটালে সন্তান জন্ম দেন।

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসে বেশকিছু চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় চিকিৎসক।

গত ১৫ এপ্রিল প্রথম চিকিৎসক হিসেবে করোনায় মারা যান সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। ৩ মে মারা যান আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। ১২ মে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবুল মোকারিম মো. মহসিন উদ্দিন।

৩ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বেসরকারি মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এহসানুল করিম। সেদিন সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন রাজধানীর ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন। সবশেষ ৪ জুন দিবাগত রাতে মারা যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এ এম গোলাম কিবরিয়া (৭৫)।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮২৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৮১১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন।

জেপি/মিলন রহমান/এইচএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।