করোনায় ওষুধ ভ্যাকসিন মূল্যায়নে কমিটি
করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ, ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাকসিন ও মেডিকেল ডিভাইসের বিষয়ে পরামর্শ, সুপারিশ ও মূল্যায়ন করতে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১২ সদস্যের এই কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাইন্স বিভাগের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. কামালকে সভাপতি এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (ওষুধ প্রশাসন),বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্সের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডাক্তার লিয়াকত আলী, আইসিডিডিআরবি ইমেরিটাস সাইন্টিস্ট ডক্টর ফেরদৌসী কাদরী, বারডেমের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডাক্তার কাউসার সারোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাক্তার মুজিবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর ডাক্তার সামিউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম আলমগীর এবং বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আরাফাত।
গত ৪ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ওষুধ প্রশাসন-১ অধিশাখার সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, 'এ কমিটি করোনা চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও আমদানি ওষুধ , ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাকসিন ও মেডিকেল ডিভাইস মূল্যায়ন করবে। সেইসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে এসব বিষয়ে প্রয়ােজনীয় সুপারিশ করবে এ কমিটি। প্রয়ােজনে এ কমিটি এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারবে। জনস্বার্থে এ কমিটি গঠন করা হলো এবং ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।'
এমইউ/জেডএ/এমএস