কলকারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্দেশিকা চূড়ান্ত
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় 'স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা'র চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল।
মঙ্গলবার ( ৯ মে) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিলের ৯ম সভায় এ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কারখানা চালু রাখা যেমন জরুরি তেমনি শ্রমিক মালিকসহ সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে কারখানা চালানোর নির্দেশ দেন।
বৈশ্বিক এ মহামারির সময়ে মালিকদের আরও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সবাইকে সচেতন ও সহনশীলতার সাথে এ দুর্যোগ মোকাবিলার পরামর্শ দেন। শিল্প, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে এ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে চললে করোনাকে জয় করা সহজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা প্রণয়ন করে। সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক এবং এ কমিটির সদস্য সচিব শিবনাথ রায় করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকদের সুরক্ষায় গৃহীত পদক্ষেপ এবং এ নির্দেশিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
পরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক উপ-মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মো.মতিউর রহমান স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকার খুঁটিনাটি উপস্থাপন করেন। কমিটির সদস্যরা নির্দেশিকা চূড়ান্তকরণে নানা মতামত তুলে ধরেন। এ সময় জানানো হয়, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব খাত এমনকি যেসব কারখানা শ্রম আইন মেনে চলে না তাদেরও এ নির্দেশিকা কাজে লাগবে। মালিকরা কল-কারখানায় স্বাস্থ্যসুরক্ষায় কর্মপরিকল্পনা করলে এ নির্দেশিকা পরিপূর্ণ গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। কারখানা পর্যায়ে কীভাবে কাদের দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে তাও সুর্নিদিষ্ট করা হয়েছে।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) ড. রেজাউল হক, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল কুমার দাস, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, আইএলও বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনিরা সুলতানা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, শিল্প পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এমইউএইচ/জেডএ/এমএস