সব মানুষের কাছে কমপক্ষে দু’টি মাস্ক পৌঁছে দিন : স্বাস্থ্য অধিদফতর
করোনা সংক্রমণ রোধে শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী, জনপ্রতিনিধি, বিত্তশালীসহ সবার প্রতি অনুরোধ, দেশের সব মানুষের কাছে কমপক্ষে দু’টি পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক পৌঁছে দিন।
রোববার (১৪ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ অনুরোধ জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছে, মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আজকের প্রায় সব পত্রিকায় এ বিষয়ে গবেষণার খবর এসেছে যে, মাস্ক করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। অনেক দেশ শতভাগ মাস্ক পরে করোনার সংক্রমণ কমিয়েছে। কাজেই সবার প্রতি আবারও অনুরোধ জানাচ্ছি, যার যার অবস্থান থেকে শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করুন। নিজের প্রতি দায়িত্বশীল হোন এবং পরিবারের সব সদস্যকে উদ্বুদ্ধ করুন।’
এর আগে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘প্রতিদিনই চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন, যা চিকিৎসা পেশার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বর্তমানে করোনার আঘাতে পর্যুদস্ত। অনেক পুরোনো প্রবাদ ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর’। সুতরাং চিকিৎসা নেয়ার পূর্বেই করোনা প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে সচেষ্ট থাকা, সচেতন ও সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ১৭১ জন। একই সময়ে নতুন করে আরও তিন হাজার ১৪১ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭ হাজার ৫২০ জনে।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
পিডি/এমএফ/এমএস