ইউনাইটেডের চেয়ারম্যান-এমডি-সিইও’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৯ পিএম, ১৭ জুন ২০২০

রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চার শীর্ষ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।

এ চারজন হলেন- ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা, ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ফরিদুর রহমান খান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এবং ডিরেক্টর ও চিফ (ক্লিনিক্যাল গভর্নেন্স) ডা. আবু সাঈদ এমএম রহমান।

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ মে ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে (মূল ভবনের বাইরে স্থাপিত) ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- রিয়াজুল আলম (৪৫), খাদেজা বেগম (৭০), ভের্নন এন্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫) ও মো. মাহাবুব (৫০)।

এ ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করলেও আগুনে নিহত ভের্নন এন্থনি পলের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে একটি ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ মামলা করা হয়। মামলায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান, এমডি, সিইও, পরিচালক, করোনা ইউনিটে সে সময় কর্মরত ডাক্তার-নার্স, সেফটি ও সিকিউরিটি কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়।

ঘটনার পর পুলিশ জানায়, আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভেতর দু’টি কক্ষ ছিল। তার মধ্যে চিকিৎসক ও নার্সদের যে কক্ষ সেখানকার এসি থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে হাসপাতালে মারা যাওয়া পাঁচ রোগীর চারজনই বেডে নিথর হয়ে পড়েছিলেন।

এ ঘটনার তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং রাজউক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে অগ্নিদুর্ঘটনা চলাকালে আগুন নেভাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো। ইমার্জেন্সি অ্যালার্ম বাজানো, রোগী অপসারণ ও হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ দলকে জরুরি উপস্থিত হতে অনুরোধ করলে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ও রোগীদের মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতো। এ ছাড়া এসি থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নির্গত হতে দেখেও কর্মরত উপস্থিত ব্যক্তিদের (ডাক্তার, তিনজন নার্স ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী) আগুন নেভানোর ব্যাপারে ফায়ার এক্সটিংগুইশার (অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র) বা অন্যান্য আগুন নেভানোর সরঞ্জামাদি ব্যবহারে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।’

এআর/এইচএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।