বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৮ জুন ২০২০

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তিন মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে পরিশোধের নির্দেশ ও পরিশোধ না করলে পুনরায় বিলম্ব মাশুল ধার্য এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের যে আলটিমেটাম বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন, তা সাধারণ মানুষের সাথে নির্দয় প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ নামক একটি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার এ দাবি করেন। সেই সঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সারাদেশ যখন স্থবির, মানুষের আয়-রোজগার যখন প্রায় বন্ধ, সাধারণ মানুষের পক্ষে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই যেখানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে, তখন গ্রাহকদের এভাবে বাধ্য করা কোনো মানবিক কাজ হতে পারে না।

বাহারানে সুলতান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে সাধারণ মানুষকে বিদ্যুৎ বিল দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে গ্রাহকদের সহযোগিতার স্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বিল পরিশোধ করলেও কোনো সমস্যা হবে না। তাই আর্থিক কষ্টে জর্জরিত সাধারণ মানুষ সরকারের আশ্বাসে আশাবাদী হয়ে বিল পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আগেই এভাবে মানুষকে একসঙ্গে বিল পরিশোধের আলটিমেটাম তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির ভঙ্গ বলে আমরা মনে করি। একসঙ্গে এতো বিল তাদের বোঝা আরও বাড়িয়েছে।

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি সরকারের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাধারণ ভাড়াটিয়াসহ সব গ্রাহকের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময়সীমা আরও বাড়ানো হোক। বিলম্ব মাশুল সম্পূর্ণ মওকুফ করা হোক। আরও তিন মাস পর প্রতি মাসের সঙ্গে এক মাসের করে বিল যোগ করে পরিশোধের সুযোগ দেয়া হোক। একসঙ্গে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধের আলটিমেটাম গ্রাহকদের ওপর আর্থিক ও মানসিক চাপ তৈরি করছে। এ চাপ থেকে জনগণকে মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।

এএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।