‘প্লাজমা দিয়ে একটি প্রাণ বাঁচানোর চেয়ে মহৎ কাজ আর হতে পারে না’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, 'প্লাজমা দিয়ে যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একটি রোগীর প্রাণ বাঁচে, এর চেয়ে মহৎ কাজ আর হতে পারে না।'
শনিবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, প্লাজমার বিষয়ে বাঁধন কাজ করবে। তবে ডাক্তারদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন আনতে হবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া আমরা কাউকে প্লাজমা দেব না। চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসা ছাড়া কাউকে প্লাজমা দেয়া হবে না। প্লাজমা যে দান করবেন আর যে গ্রহণ করবেন তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের পরিচয় জানবেন।
তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি একসময় বেস্ট ব্লাড ডোনার হয়েছি। আমি তরুণদের বলব, আপনারা প্লাজমা ডোনেট করতে এগিয়ে আসুন। একজন থেকে ৬০০ এমএল প্লাজমা নেয়া যায়। এটাকে আমরা তিনজকে দিতে পারব।
অনুষ্ঠানে বাঁধন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রকিব আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মমিনুর রহমান মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জীবন রক্ষায় যারা প্লাজমা দিতে চান ও পেতে চান এই দুইয়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করতে ডিএনসিসির নগর ভবনে প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা পরিচালিত কল (হটলাইন নম্বর - ০১৮৪১১৮৮২৪-২৫) সেন্টারের মাধ্যমে প্লাজমা চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হবে।
প্লাজমা সাপোর্ট সেন্টারকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এ ছাড়া এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ডিএনসিসি, গাজী গ্রুপ কোভিড-১৯ টেস্ট সেন্টার, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন, সবাই মিলে সবার ঢাকা, ওলয়েল ডট কম, এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।
এএস/জেডএ/জেআইএম