পশুর হাট বসানোর সরকারি সিদ্ধান্তে ডক্টরস প্ল্যাটফর্মের উদ্বেগ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩২ এএম, ২৯ জুন ২০২০

আসছে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম ফর পিপল’স হেলথ। সংগঠনটি অবিলম্বে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম ফর পিপল’স হেলথ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে শারীরিক দূরত্ব রক্ষার ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যেসব দেশ এই পদক্ষেপ ঠিকভাবে কার্যকর করতে পেরেছে, সেসব দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেয়েছে। এই দেশগুলোতে সকল উপাসনালয়সহ যেখানেই ঘনিষ্ট লোকসমাগম হয় সেখানেই সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সৌদি আরবে কয়েকদিন আগে কারফিউ উঠিয়ে নামাজ পড়তে নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এবার হজে শুধুমাত্র সৌদি আরবের কমবেশি এক হাজার জনকে হজের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

ডক্টরস প্ল্যাটফর্ম ফর পিপল’স হেলথ বলছে, আমাদের মতো দেশে বিশেষ করে শহর-নগরে পশুর হাট বসলে কোনোভাবেই শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা সম্ভব হবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশুর হাট বসলে করোনা সংক্রমণের হারের সঙ্গে মৃত্যুহারও বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি হবে গরিব মানুষের ভোগান্তি। অর্থনীতিবিদদের গবেষণা বলছে, পূর্বের গরিবের সঙ্গে করোনায় আরও প্রায় পৌনে দুই কোটি গরিব লোক যোগ হবে। অর্থাৎ ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।

চিকিৎসকদের এই সংগঠনটি আরও বলছে, করোনা মহামারির এই সংকটকালে পশু কোরবানি পরিহার করে দুস্থ জনগণের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা ও অর্থ সহায়তা করার বিকল্প বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে কেউ শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতে পোষা পশু অথবা অনলাইনে কিংবা সরাসরি গৃহস্থের কাছ থেকে পশু ক্রয় করে কোরবানি দেবার ব্যবস্থা করলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসক নেতারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হতে পারছে না। অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে বিনা অক্সিজেনে রোগীর করুণ মৃত্যু ঘটছে। এরূপ পরিস্থিতিতে কাজ হারানো, উপার্জনহীন, গরিব, হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে খাবার ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়ে আরও কঠোর ও কার্যকর লকডাউন ব্যবস্থার দরকার। তা না করে সরকার পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে ইজারাদারদের পকেট ভারী হবে বটে; কিন্তু করোনার সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নেবে ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হবে।

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।