নারায়ণগঞ্জে করোনা চিকিৎসায় যুক্ত হলো ১০টি আইসিইউ শয্যা
করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীর সেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইসিইউ শয্যা। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে যুক্ত হয় ১০টি আইসিইউ শয্যা। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য সারাদেশে এই শয্যার সংখ্যা হলো ৪০১টি।
শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় শয্যার চিত্র তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে সাধারণ শয্যা আছে ৬ হাজার ৭৫টি এবং আইসিইউ শয্যা ১৪৯টি। আর সারাদেশে (ঢাকাসহ) করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৭৫টি এবং আইসিইউয়ের সংখ্যা ৪০১টি। সারাদেশে সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগী ৪ হাজার ৭০৮ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি ২০৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭৮ জন করোনা রোগী এবং একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৬৭ জন।’
সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১১ হাজার ১৪১টি, হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলার সংখ্যা ২০৭টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটের সংখ্যা ৯৮টি বলেও জানান নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। সেগুলোর তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৮১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৬৫০টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ১৭ হাজার ৩৪৭টি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার হাজার ৬০৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ হাজার ৪৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪২ জন। এ নিয়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৯৬৮ জনে।
পিডি/জেডএ/জেআইএম