‘রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে এয়ারওয়েজের সম্পৃক্ততা নেই’
সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এলে অনেকেই একই নাম হওয়ায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজকে হাসপাতালের সহপ্রতিষ্ঠান (সিস্টার কনসার্ন) মনে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করছেন। তাই বিভ্রান্তি দূর করতে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে রিজেন্ট।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ জানায়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নামের মিল থাকায় বিতর্কিত একটি হাসপাতালের সাথে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সম্পৃক্ততা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম বেসরকারি বিমান সংস্থা যা বর্তমানে দশম বছরে পদার্পণ করছে এবং যেটি হাবিব গ্রুপের একটি অঙ্গ- প্রতিষ্ঠান।’
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ আরও জানায়, ‘হাবিব গ্রুপ চট্টগ্রামভিত্তিক একটি স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যা ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, এতে ২০ হাজারেরও বেশি লােক নিয়ােজিত রয়েছেন। এটি বস্ত্র, বিমান, সিমেন্ট, ইস্পাত, রিয়েল এস্টেট, বীমা এবং ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনা করে। কিন্তু হাবিব গ্রুপ হাসপাতাল পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত নয় বা রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সাথে দেশে বা বিদেশে রিজেন্ট নামধারী রিজেন্ট হাসপাতাল বা রিজেন্ট গ্রুপ বা এ জাতীয় কোনাে ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কোনােভাবেই রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সুনামকে এ জাতীয় বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলিয়ে বিভ্রান্ত না হতে জনসাধারণকে অনুরােধ করা হলো।’
উল্লেখ্য, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করত রিজেন্ট হাসপাতাল। এছাড়াও সরকার থেকে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টেস্ট করার অনুমতি নিয়ে রিপোর্ট প্রতি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে আদায় করত তারা। এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল। এই সমস্ত অপরাধ ও টাকার নিয়ন্ত্রণ চেয়ারম্যান সাহেব (রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ) নিজে করত।’
নানা অনিয়মের অভিযোগে গত সোমবার (৬ জুলাই) উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
এআর/বিএ