সক্রিয় করোনা রোগী ৮৮ হাজার, হাসপাতালে ভর্তি ৪ হাজার
অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাহীনতা, ‘গলা কাটা’ খরচসহ নানা কারণে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই দেশের হাসপাতালগুলো মানুষের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে যে পরিমাণ শয্যা তৈরি করা হয়েছিল, সেগুলো কখনওই পূর্ণ হয়নি। হাসপাতালগুলোর মোট শয্যার চারভাগের প্রায় তিনভাগই ফাঁকা পড়ে আছে।
বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সাধারণ শয্যা রয়েছে ১৪ হাজার ৭১৫টি। এতে রোগী ভর্তি আছে ৪ হাজার ৭৯ জন এবং খালি আছে ১০ হাজার ৬৩৬টি। সারা দেশে আইসিইউ শয্যা ৩৭৬টি, রোগী ভর্তি আছেন ২১০ জন এবং খালি আছে ১৬৬টি। অর্থাৎ সবমিলিয়ে, মোট শয্যার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯১টি। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৮৯টি শয্যায় রোগী ভর্তি আছে এবং ফাঁকা আছে ১০ হাজার ৮০২টি শয্যা।
এদিকে, দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন দুই হাজার ৫৪৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ আট হাজার ৭২৫ জন। মোট আক্রান্ত থেকে মৃত ও সুস্থদের বাদ দিলেও বর্তমানে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি মাত্র ৪ হাজার ২৮৯ জন। অর্থাৎ বাকি ৮৩ হাজার ৭৯৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী নিচ্ছেন না হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। অন্যদিকে, করোনার জন্য নির্ধারিত প্রায় ১১ হাজার শয্যাই ফাঁকা।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে এসব জানা যায়।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘ঢাকা মহানগরের সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন এক হাজার ৯৬৯ জন করোনা রোগী এবং শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ৩৫৬টি। ঢাকা মহানগরের আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১০৭ জন, খালি আছে ৩৫টি। চট্টগ্রাম মহানগরে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন ৩১০ জন, খালি আছে ৩৪৭টি। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন এবং খালি আছে ২০টি।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে অন্যান্য হাসপাতালের সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন এক হাজার ৮০০ জন এবং শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৩৩টি। সারা দেশের অন্যান্য হাসপাতালে আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন ৮৪ জন এবং খালি পড়ে আছে ১১১টি।’
সারা দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১১ হাজার ২৮০টি, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সংখ্যা ১৭৩টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সংখ্যা ১০১টি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিডি/এফআর/জেআইএম