চিকিৎসা নিচ্ছেন না ৯০ হাজার করোনা রোগী, ফাঁকা ১১ হাজার শয্যা
সারাদেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৫ হাজার ১৩৪টি। এর মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ৪ হাজার ২৪৮ জন। ফলে শয্যা খালি পড়ে আছে ১০ হাজার ৮৮৬টি। সারাদেশে আইসিইউর শয্যা ৫৩২টি। এর মধ্যে রোগী ভর্তি ৩০৩টি শয্যায় এবং খালি পড়ে আছে ২২৯টি।
সবমিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৫৫১ জন করোনা রোগী। সাধারণ ও আইসিইউসহ ফাঁকা পড়ে আছে ১১ হাজার ১১৫টি শয্যা।
এদিকে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ১৬ হাজার ১১০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৮০১ জনের। সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ২১০ জন। মোট আক্রান্ত থেকে সুস্থ ও মৃতের সংখ্যা বাদ দিলে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ৯৯ জন। এর মধ্যে সাধারণ ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তি হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন ৪ হাজার ৫৫১ জন। বাকি ৮৯ হাজার ৫৪৮ জন করোনা রোগী হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বুলেটিনে ব্রিফ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরে সাধারণ শয্যায় করোনা রোগী ভর্তি আছেন ২ হাজার ১৩৮ এবং আইসিইউতে ভর্তি ১৮৮ জন। চট্টগ্রাম মহানগরে সাধারণ শয্যায় করোনা রোগী ভর্তি আছেন ৩১০ এবং আইসিইউতে রোগী ভর্তি আছেন ২২ জন। সারাদেশে করোনা ডেডিকেটেড অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন এক হাজার ৮০০, আইসিইউতে ৯৩ জন।’
নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ হাজার ৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের নমুনা মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৩৯৮টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ৭৯ হাজার সাতটি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৮৫৬ জনের দেহে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ১৬ হাজার ১১০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও অর্ধশত জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৮০১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ছয়জন। এতে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১৯ হাজার ২১০ জনে।
পিডি/এফআর/এমকেএইচ