৩০ বছরের নিচে মৃত্যুর হার কম

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২০

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। শনিবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৬৫ জন

করোনায় মোট মৃত্যুর মাত্র ৪ দশমিক ১৩ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে। ৬০ বছরের ওপরের বয়সীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৪৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সংখ্যায় এক হাজার ৫৮১ জন।

বয়সভিত্তিক মৃত্যুর হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ১৮ জন (০.৫৩ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৩ জন (০.৯৮ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৮৮ জন (২.৬২ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২১৪ জন (৬.৩৬ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৪৬৬ জন (১৩.৮৫ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৯৬৫ জন (২৮.৬৮ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার ৫৮১ জনের (৪৬.৯৮ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে করোনায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর তালিকায় ৩২ জন

শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক দৈনন্দিন বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৩২ জনের নাম। এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৩৬৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৬১১ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩।

অনলাইনে তথ্য উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি মোট ৮৪টি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৬১১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩২ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৬৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জনে।

মৃতদের মধ্যে কোন বয়সী এবং কোন বিভাগের কতজন

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী সাতজন। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে দুই হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ এবং ৭১০ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন। ১৬ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের, চারজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের এবং একজন ছিলেন বরিশাল বিভাগের।

গতকালের তথ্য

গতকাল শুক্রবারের (৭ আগস্ট) বুলেটিনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৮৫১ জন। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।

শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার

শনিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

বৈশ্বিক সর্বশেষ

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯৫ লাখ ৪৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা সাত লাখ ২৪ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাড়ে ২৫ লাখ প্রায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

এমইউ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।