চল্লিশোর্ধ্বদের মৃত্যুই বেশি
>> ৯০ শতাংশের বেশি মৃত্যু চল্লিশোর্ধ্ব বয়সীদের
>> শূন্য-৩০ বছর বয়সীদের ১০ শতাংশেরও কম
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। রাজধানীসহ সারাদেশে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মহামারি করোনায় আক্রান্ত সর্বমোট চার হাজার ৩৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৪০৮ জন (৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ) এবং নারী ৯৪৩ জন (২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি মৃত্যু চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী। শূন্য থেকে ৩০ বছর বয়সী মৃতের সংখ্যা ১০ শতাংশেরও কম।
মোট মৃত্যুর পরিসংখ্যানে বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০বছর বয়সী ১৯ জন (শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৬ জন (শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১০৫ জন (দুই দশমিক ৪১ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৬৪ জন (ছয় দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৫৮০ জন (১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ১৮৯ জন (২৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী দুই হাজার ১৫৮ জন (৪৯ দশমিক ৬০ শতাংশ) রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন ও নারী ১২ জন। হাসপাতালেই সকলের মৃত্যু হয়। এনিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৩৫১ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৭৩৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৫ হাজার ২০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একই সময়ে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮২ জন।
ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ১৭ হাজার ৫২৮ জনে। মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৬ জনে।
এমইউ/এমএআর/এমএস