কমে আসছে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রীর সংখ্যা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটের সাতটি ফ্লাইটে নেগেটিভ সনদ ছাড়া মাত্র ৪৮ জন যাত্রী পাওয়া গেছে।

সনদবিহীন ওই ৪৮ জনের মধ্যে দুইজন করোনা পজিটিভ রোগীকে চিকিৎসার জন্য বাইরের হাসপাতালে রেফার করা হয়। অবশিষ্ট ৪৬ জনকে উত্তরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে বিদেশফেরত মোট ৮৬২ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হলো। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে (বিজি ০০৮৭) মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে একজন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে (বিজি ৪০৩৬) দুইজন, কাতার এয়ারলাইন্সে (কিউআর৬৪০) দোহা থেকে দুইজন(করোনা পজিটিভ), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে (বিজি০৭৯) হাঙ্গেরি থেকে ১২ জন, এয়ার অ্যারাবিয়ায়( জি-৯-৮৭১) কলম্বিয়া থেকে ১২ জন, এয়ার অ্যারাবিয়ায় (৩৯৫১৩) শারজাহ থেকে ৮ জন এবং এয়ার অ্যারাবিয়ায় (৩৯৫১৭) ১১ জন করোনা সনদ ছাড়া ফিরে আসেন।

উল্লেখ্য, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সম্প্রতি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। এ বিষয়ে বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আসতে হলে সব যাত্রীকে যাত্রা শুরুর সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। টেস্টে নেগেটিভ যাত্রীরাই দেশে আসতে পারবেন।

বিমানবন্দরে সেই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। বিমানবন্দরেও তাদের করোনা সংক্রমণের লক্ষণ-উপসর্গ আছে কি না তা অনুসন্ধান করা হবে। ৫ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ওই নির্দেশনা জারি হয়। এ নির্দেশের পর করোনা সনদ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীর সংখ্যা হ্রাস পায়।

এমইউ/এআরএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।