করোনাভীতি উপেক্ষা করে বিনোদনকেন্দ্রে মানুষের ঢল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০৯ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতি উপেক্ষা করে মহান বিজয় দিবসের শেষ বিকেলে অজস্র মানুষের ঢল নেমেছিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে। মসজিদ থেকে যখন মাগরিবের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ছিল শত শত মানুষের দীর্ঘ সারি।

কেউ ভেতরে যাওয়ার জন্য, কেউবা বের হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। অপেক্ষাকৃত তরুণরা বের হয়ে আসছিলেন প্রবেশপথের প্রাচীর টপকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতেই দেখা গেল হাজার হাজার মানুষ ঘোরাফেরা করছেন গ্লাস টাওয়ার সংলগ্ন মাঠে।

gathering-(1).jpg

এদিন দুপুরের পর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। শেষ বিকেলে উদ্যান পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় মহান বিজয় দিবসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেই ভেবেছিলেন করোনাভীতির কারণে এবারের বিজয় দিবসে রাজধানীবাসী ঘর থেকে বের হবেন না। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো ঘটনা।

gathering-(1).jpg

গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও শীত একটু বেশি পড়লেও মহান বিজয় দিবসের দিন বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্য ওঠায় শীত ছিল অপেক্ষাকৃত কম।

সকালের দিকে রাজধানীর জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, সংসদ ভবন, টিএসসি, শাহবাগ, রমনা পার্ক ও উত্তরা দিয়াবাড়ি) জনসমাগম অপেক্ষাকৃত কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের মতো মানুষ ছুটে আসতে শুরু করে।

gathering-(1).jpg

বিকেল সাড়ে ৪টায় ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য নারী-পুরুষ ধানমন্ডি লেক ও সরোবরের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন কেউবা আবার গাইছেন গলা ছেড়ে। নৌকা ভাড়া করে অনেককে দেখা গেছে লেকের পানিতে ঘুরে বেড়াতে। আশপাশের খাবারের দোকানগুলোতে বসে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। প্রচণ্ড ভীড়ের মধ্যে অনেকেই ভুলি গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যবিধির কথা। বহু লোককে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে।

এমইউ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।