আল-রশীদ ফাউন্ডেশনকে সংবর্ধনা দিলো রেডক্রস
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুতে এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফনে অনেকে এগিয়ে আসতো না। এমনকি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মৃতের সংস্পর্শে আসতো না আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা। ঠিক সেই সময় আল-রশীদ ফাউন্ডেশন একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে করোনায় মৃতদের দাফনে এগিয়ে আসে।
করোনা মহামারির দুঃসময়ে মরদেহ দাফনে বিশেষ সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য আল-রশীদ ফাউন্ডেশনকে যৌথভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
গত ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রসের বাংলাদেশের হেড অব ডেলিগেশন পাবলো পারসেলসি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) কর্মকর্তা জেনিফার হিউজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আল-রশীদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মরদেহ দাফনের কাজ অব্যাহত রাখা এবং করোনা পরবর্তী সময়েও জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আইসিআরসি কর্মকর্তা জেনিফার হিউজের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের কর্মকর্তারা ওই দিনই আল-রশীদ ফান্ডেশনের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। স্বেচ্ছাসেবকদের খোঁজ-খবর নেন এবং সবাইকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
করোনা মহামারির সময়ে মরদেহ দাফনের দুঃসাহসিক কাজে স্বেচ্ছায় আত্মনিয়োগ করার জন্য আল-রশীদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও ব্যবস্থাপনরা সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব স্বেচ্ছাসেবককে ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রসের প্রতিনিধিদল অভিনন্দন জানান।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ