করোনা পরীক্ষা-শনাক্ত-সুস্থতা-মৃত্যু সবই কমেছে
গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার হার ২ দশমিক ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ ও মৃত্যুহার ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দ্বিতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের তুলনায় তৃতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহের পরিসংখ্যানে এ পরিবর্তন দেখা যায়।
দ্বিতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (৯ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৬০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৫ হাজার ৬৮১ জন শনাক্ত ও ৫ হাজার ৬৯২ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং এ সময়ে মৃত্যু হয় ১২৭ জনের।
তৃতীয় এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত) ৯৭ হাজার ৩৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ৪ হাজার ২৬৩ জন শনাক্ত, ৪ হাজার ১৪৩ জন সুস্থ ও ১২০ জনের মৃত্যু হয়।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার তিনজনে। নতুন মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২০০টি ল্যাবরেটরিতে ১১ হাজার ৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হাজার ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৮৯টি।
এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৩৬ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৩১ হাজার ৩২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৯ জন।
এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৫৭ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু আট হাজার তিনজন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৬৪ জন (৭৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ) ও নারী ১ হাজার ৯৩৯ জন (২৪ দশমিক শূন্য ২৩ শতাংশ)।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রামে তিনজন এবং বরিশালে একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস