প্রতি ১০ লাখে শনাক্ত সুস্থ ও মৃত্যু যত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি তিন লাখ ছয় হাজার ৪৬৮ জন। দেশের এই জনসংখ্যার ভিত্তিতে করোনায় শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যুহার নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
তাদের হিসাবে মহামারি করোনাভাইরাসে প্রতি ১০ লাখে তিন হাজার ১৫০ দশমিক ৪৭ জন শনাক্ত, দুই হাজার ৮২৬ দশমিক ১১ জন রোগী সুস্থ এবং ৪৭ দশমিক ৯৩ জনের মৃত্যু হয়।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার ১৬২ জনে।
এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৩৮ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জন।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তে হার দুই দশমিক ৯২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু আট হাজার ১৬২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ১৮৮ (৭৫ দশমিক ৮১ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৯৭৪ জন (২৪ দশমিক শূন্য ১৯ শতাংশ)।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, চল্লিাশোর্ধ্ব দুজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন ও ষাটোর্ধ্ব সাতজন। ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে দুজন, রাজশাহীতে একজন ও খুলনায় দুজন মারা যান।
এমইউ/বিএ/এমকেএইচ