চালু আছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ, রাস্তায় নামলে হয়রানির অভিযোগ
দেশে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এদিকে হঠাৎ করে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বেশকিছু এলাকায় সড়কে মোটরসাইকেলসহ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকরা।
তারা বলছেন, সবকিছু চলতে পারলে রাইড শেয়ারিংয়ে সমস্যা কোথায়? আগে থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকায় রাইড শেয়ারিং বন্ধের বিষয়টি তারা জানতেন না। কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও ট্রাফিক পুলিশ অহেতুক মামলা ও হয়রানি করছে বলে তাদের অভিযোগ।
এর আগে বুধবার (৩১ মার্চ) করোনাভাইরাস সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। এ ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ও দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন মোটরসাইকেল চালকরা। তারা সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। দাবি আদায়ে স্লোগান দেন। সেই সঙ্গে তারা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
চালকরা বলছেন, রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো চালু আছে। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে কল পাচ্ছেন। তবে যাত্রী নিয়ে বের হলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের ধরছে। মামলা দিচ্ছে।
বিল্লাল হোসেন নামের এক চালক জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন মেনে চলেছি। কিন্তু সরকারের কিংবা কোম্পানির তরফ থেকে কোনো সাহায্য পাইনি। এবারও সরকারের আদেশ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি, কিন্তু সবকিছু চলবে আর রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকবে এটা কেমন কথা! আমার রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকবে আর অন্য সবকিছু চলবে এটা তো হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাইড শেয়ার করতে চাই।
মামুন নামের আরেক চালক জানান, ট্রাফিক পুলিশের ভোগান্তির কথা রাইড শেয়ারিং কোম্পানির হেল্প লাইনে জানানোর পর তারা কোনো সাহায্য করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
চালকরা জানান, আজকে গাড়ি ধরার পর হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। তারা আমাদের কোনো কথাই শুনছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাইড শেয়ারিং করা সম্ভব।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গণপরিবহনে যাত্রীসেবার নতুন নিয়মের দ্বিতীয় দিনেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় সড়কে দাঁড়িয়ে থেকেছেন সাধারণ মানুষ। আবার বাসে আসন পেলেও অভিযোগ ছিল অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জয়দেব চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, অ্যাপ কন্ট্রোল টেকনিক্যাল ইউনিট এগুলে নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি নির্দেশনার পর ডিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগ মোটরসাইকেলে আরোহী নেয়া নিরুৎসাহিত করছে। অনেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
আ্যপ বন্ধ রেখে ক্ষ্যাপে যাত্রী নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় মোবাইল চেক করে দেখে আ্যপ চালু আছে কি-না। এছাড়া আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাইড শেয়ারে যাচ্ছে কি-না।
এসএম/এমএসএইচ/জিকেএস