দর্শনার্থীবিহীন চিড়িয়াখানায় নিরিবিলি সময় কাটাচ্ছে প্রাণিরা
মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকের বাম পাশে পকেট গেট। দর্শনার্থীরা সেই গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন না। সেখানে একটি ব্যানার ঝুলানো, তাতে লেখা- ‘সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতীয় চিড়িয়াখানায় সাময়িক সময়ের জন্য দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ আছে।’ করোনাভাইরাসের কারণে গত শুক্রবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় চিড়িয়াখানা। তবে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপের তৃতীয় দিনে বিধিনিষেধ ভেঙে বেশ কয়েকজন এসেছেন চিড়িয়াখানায়।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। প্রত্যেকেই জানালেন, চিড়িয়াখানা যে বন্ধ আছে তারা তা জানতেন না।
চিড়িয়াখানায় থাকা বন্য প্রাণিরা আছে আগের মতই, রুটিন মাফিক খাওয়া দাওয়া চলছে। তবে দর্শনার্থী না থাকায় প্রাণিরা অনেকটাই শান্ত। এমনটাই জানালেন প্রাণিদের দেখভাল করা কেয়ারটেকাররা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেয় সরকার।
চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চিড়িয়াখানা বন্ধ আছে দর্শনার্থীদের জন্য। তবে চিড়িয়াখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, অন্য দিনের মতো প্রাণিদের খাবার দেয়া হচ্ছে। যেহেতু দর্শনার্থী নেই, তাই তারা শান্ত মেজাজে আছে।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, ওয়াইল্ড এনিমেলের মানুষ হলো শত্রু, তারা বনে জঙ্গলে থাকে। তারা দৃষ্টিগোচরে থাকে। কেয়ারটেকাররা তাদের বন্ধু হয়ে গেছে। কেননা কেয়ারটেকাররা বন্য জন্তুদের খাবার দাবার দেয়, লালন পালন করে। দর্শনার্থী দেখলে তারা বিব্রত হয়, উগ্র হয়। এখন সেটা নেই। নিরিবিলি পরিবেশে শান্ত হয়েই আছে তারা।
এসএম/এআরএ/এএসএম