চেকপোস্টের আশপাশে কম, পাড়া-মহল্লায় লোকে গমগম

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২১

সারাদেশে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন শুক্রবার রাজধানীতে গতকাল বৃহস্পতিবারের তুলনায় রাস্তাঘাটে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বিনা প্রয়োজনে বের হলে জরিমানা করছে।

তবে যেসব এলাকায় চেকপোস্ট নেই সেখানকার চিত্র উল্টো। পাড়া-মহল্লা এমনকি রাজপথেও অবাধে মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে আবার কেউ মানছে না। বিনা কারণে শুধু বাইরে ঘুরে বেড়াতে নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে যাচ্ছেন অনেকে।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি, লালবাগ, কলাবাগান, শাহবাগ ও রমনা থানা এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

post3

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরির অদূরে মিরপুর রোডে একদল পুলিশ সদস্যকে ব্যারিকেড বসিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায়। রিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস কিংবা যেকোনো যানবাহনে মানুষ দেখলেই সিগন্যাল দিয়ে দাঁড় করিয়ে ‘কেন বাইরে বের হয়েছেন’ জিজ্ঞাসা করা হয়। সন্তোষজনক জবাব পেলে যেতে দেয়া হয়, আর না পেলে বাসায় ফেরত পাঠাতে দেখা যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই হাসপাতালে রোগী দেখতে , প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কিনতে কিংবা কেউবা আবার মুভমেন্ট পাস নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে যাচ্ছেন।

কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে কঠোরভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে। চেকপোস্টে সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে তবেই যেতে দেয়া হচ্ছে।

post3

গত দুদিনের তুলনায় আজ রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহনের উপস্থিতি অপেক্ষাপকৃত কম মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষকে হয়রানি করা তাদের লক্ষ্য নয়, বরং মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হতে দেয়াই তাদের মূল লক্ষ্য।

দেখা গেছে, যেখানে চেকপোস্ট নেই সেসব রাস্তায় মানুষের বেশ ভীড়। কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা মারছেন, কেউ সাথে ব্যাগজাতীয় কিছু নিয়ে বাজারে বা দোকানে কিছু কিনতে বের হয়েছেন।

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।