খাদ্যসামগ্রী বিতরণে ডিএনসিসির প্রতি ওয়ার্ডে লাখ টাকা বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২১

লকডাউনে নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে প্রাথমিকভাবে প্রতি ওয়ার্ডে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এই পরিমাণ অর্থ খরচ করার ফাইলে অনুমোদন দেন তিনি।

মেয়র আতিক গত বছরও করোনা মহামারির সময় নিজ উদ্যোগে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এবারও সংস্থাটির ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এই টাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বতরণ করা হবে।

আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছরও আমি মাঠে ছিলাম। মানুষের বাসা বাড়িতে রাতের আঁধারে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এবারও মাঠে থাকব। আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সরকারের জন্য অপেক্ষায় থাকব না। আমাদের তহবিল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে আপাতত এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছি। সব কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন কর্মহীন, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের তালিকা করেন।’

তিনি বলেন, ‘এখনও মানুষের ঘরে কম বেশি খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে খাদ্য সঙ্কট কিছুটা দেখা দিতে পারে। সেটা বিবেচনায় রেখে আমি আজ ফাইল অনুমোদন দিয়েছি। এটা প্রস্তুত হতে তিন-চার দিন তো সময় লাগবে। আমরা আশা করি- আগামী সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই বিতরণ শুরু করতে পারব। আপাতত প্রতি ওয়ার্ডে এক লাখ করে দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আরও বাড়াব।’

মেয়র বলেন, ‘লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদি সামনে আরও বাড়ে তাহলে আমি কী করবো? সব টাকা তো এখনই খরচ করা ঠিক হবে না। আমরা সব প্রস্তুত রেখেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই সব ব্যবস্থা নেবো। যখন মানুয়ের যেমন প্রয়োজন, তখন সেভাবেই বরাদ্দ দেবো। নগরবাসীর পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।’

গত বছর করোনা মহামারির শুরুতে দায়িত্বে ছিলেন না মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৩ মে নগর পিতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু করোনা মহামারি শুরু হয় মার্চের প্রথম সপ্তাহে। শেষ সপ্তাহ থেকে পুরো লকডাউনে যায় দেশ। টানা ৬৬ দিন চলে এই লকডাউন।

আতিকুল ইসলাম তখন দায়িত্বে না থাকলেও বসে থাকেননি। তিনি তার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ থেকে নগরবাসীর মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। সে সময় ৭৩ হাজার খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করেন তিনি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, এ বছরও আমি ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ প্ল্যাটফর্ম থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করব। সব প্রস্তুত করছি। গত বছরের চেয়ে এ বছর করোনা ধরণ একটু ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি আরও ভাবতে হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

এমএমএ/এএএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।