সোহরাওয়ার্দীতে করোনা পরীক্ষার বুথে জটলা, সংক্রমণ ঝুঁকিতে সুস্থরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০২১

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। তবে সবাই করোনা আক্রান্ত থাকেন না। তাই কারও কারও ‘পজিটিভ’ আসলেও অনেকেরই করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথের সামনে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নন, দুই ধরনের মানুষেরই উপস্থিতি থাকে। ফলে বুথের সামনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রাখলে নমুনা দিতে যাওয়া নেগেটিভ ব্যক্তিও সেখান থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

অথচ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রের সামনে জটলা থাকছেই। সেখানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না। ফলে করোনায় আক্রান্ত নন, অথচ নমুনা দিতে গেছেন তারাও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এ হাসপাতালের বুথের সামনে।

তাছাড়া গুরুতর অসুস্থ বা বৃদ্ধ রোগীদের সঙ্গে আসা আত্মীয়-স্বজনরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় না থাকায় থাকেন আতঙ্কে।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) ও এর আগের কয়েকদিন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা বুথের সামনে এ চিত্র দেখা গেছে।

বুথের আশপাশের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনই এই বুথের সামনে করোনার নমুনা দিতে আসা রোগীরা ভিড় করেন। তারা কখনও সিরিয়াল মেনে চলেন না। এখানে শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হয় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও নমুনা দিতে আসাদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার আগে থেকেই এ মেডিকেলের বুথের সামনে নমুনা দিতে আসা ব্যক্তিরা ভিড় করতে শুরু করেন। পৌনে ১২টার দিকে ভিড় তুলনামূলক বেশি ছিল এখানে। নমুন পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কখনোই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

jagonews24

বৃদ্ধ বাবা-মা’র দ্বিতীয় ধাপে করোনা পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন আব্দুল্লাহ আল মাসুম। তিনি নিজেও একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ।

মাসুম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আব্বা-আম্মা করোনা আক্রান্ত। তবে এখন তারা অনেকটাই সুস্থ। তাদের উপসর্গ আর নেই। তাই আজ দ্বিতীয়বারের মতো করোনা পরীক্ষা করাতে আসলাম। আধ ঘণ্টার মধ্যেই স্যাম্পল দেয়া হয়ে গেছে আমাদের। ভোগান্তি পোহাতে হয়নি আমাদের। তবে এখানে যারা দায়িত্বরত আছেন, তারা যদি সিরিয়াল অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব রেখে সবাইকে দাঁড় করাত, তাহলে ভালো হতো। রোগীর সঙ্গে অনেক সময় স্বজনরা আসেন, তারা আক্রান্ত থাকেন না। সবাই এভাবে সংস্পর্শে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ।’

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করলে কেউ নমুনা পরীক্ষা করাতে এসে আক্রান্ত হবেন না বলেও মনে করেন মাসুম।

পিডি/এমএইচআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।