ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে ১৫ দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত ৮৯৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১১৫ জন রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৬৮ জন। এছাড়া ২৬ জন হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার (৩ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নাসির উদ্দিন। গত ১৮ এপ্রিল এক হাজার শয্যার ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়।
নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর ৮৯৪ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৩৪৫ জন ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। করোনা উপসর্গ না থাকায় তারা ভর্তি হননি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে ১৪০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। তবে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের সবার বয়স ৬০ বছরের বেশি বয়সী। এমন রোগীদের ৫০ ভাগ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছেন।
ডিএনসিসি হাসপাতালে যারা ভর্তি হতে আসেন তাদের বেশিরভাগই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আসেন বলে জানান এ বি এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ক্রিটিক্যাল অবস্থায় ভর্তি হওয়ায় সব রোগীকেই আইসিইউ এবং এইসডিইউতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে হাসপাতালের সব সাধারণ শয্যাই ফাঁকা রয়েছে।
হাসপাতালে ক্রমান্বয়ে সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যারা আইসিইউ এবং এইচডিইউতে ভর্তি তাদের পরীক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এতদিন এখানে সিটি স্ক্যানের যন্ত্র ছিল না। আজ সোমবার তা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন থেকে কাউকে পরীক্ষার জন্য বাইরে যেতে হবে না।
এমএমএ/এমএসএইচ/জেআইএম