লঞ্চ চলাচলের ঘোষণায় সদরঘাটে আনন্দ মিছিল
আগামীকাল সোমবার থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার পর ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আনন্দ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। রোববার (২৩ মে) দুপুরে তারা এ মিছিল করেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। তারা বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকেই এই ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের শ্রমিকরা জানান, সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই তারা আনন্দ মিছিল বের করেন। মিছিলে সব লঞ্চের চালক, শ্রমিকরা অংশ নেন। এছাড়াও যারা গ্রামে গিয়েছিলেন, তারা এখন ঢাকায় রওনা দিয়েছেন। এখন লঞ্চ ধোয়ামোছার কাজ চলছে।
গত শনিবার (২১ মে) বেলা ১১টায় সদরঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো লঞ্চ চলাচলের দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা। এ সময় লিখিত বক্তব্যে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল ছয় দফা দাবিও জানিয়েছিলেন। এগুলো হলো- শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য সংস্থার পক্ষ হতে গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, নৌ-পরিবহন
প্রতিমন্ত্রী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর প্রণোদনার জন্য যে আবেদন করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে মালিকদের মাঝে বণ্টনের দাবি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি
এছাড়াও এনবিআরের ধারণক্ষমতার ওপর অগ্রিম প্রদত্ত ছয় মাসের ট্যাক্স আনুপাতিক হারে মওকুফ, বিআইডব্লিউটিএ’র ছয় মাসের কারভেন্সি ও বার্লিং চার্জ মওকুফ, নৌ-পরিবহন অধিদফতরের ছয় মাসের সার্ভে ফি মওকুফ এবং ব্যাংক লোনের ছয় মাসের সুদ মওকুফ করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সদস্য হাবিব উল্লাহ সুমন জাগো নিউজকে বলেন, সরকার প্রজ্ঞাপনে যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন, তা মেনেই লঞ্চ চলবে। একবারে বন্ধ থাকার চেয়ে এভাবে চললেও মালিক-শ্রমিকেরা বাঁচবেন।
এমএমএ/এআরএ/এমএস