টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প নাই : বিএসএমএমইউ ভিসি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৩ জুন ২০২১

করোনা মোকাবিলায় টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

রোববার (১৩ জুন) বিএসএমএমইউতে ‘কোভিড-১৯ কমপ্লিকেশনস ইনক্লুডিং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ফলোআপ চিকিৎসার আওতায় থাকা উচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট কোভিড ফলোআপ ক্লিনিক চালু রয়েছে। সেখানে তারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত পরবর্তী জটিলতাসমূহের চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় অচিরেই টিকার স্বল্পতার সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশের করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টির সুযোগ নাই। টিকা গ্রহণ, পরিষ্কার মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নাই। ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে লকডাউনের সঙ্গে যারা ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে তাদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের নানা জটিলতা দেখা যায় উল্লেখ করে ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের নানা ধরনের জটিলতা দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এমন রোগীরা করোনা আক্রান্ত হলে তাদের জটিলতাও বেশি দেখা যাচ্ছে। কারো স্মৃতি শক্তি লোপ পায়, দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়, কখনও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে, দুই একজনের হলেও বর্তমানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণও পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ সকল বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি যেমন জরুরি, তেমন নানা জটিলতায় ভোগা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের পারস্পরিক জ্ঞানের আদান-প্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময়, নিরন্তর গবেষণা ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নাই। তাই এই ধরনের সেমিনার-সিম্পোজিয়াম যত বেশি হবে সেটাই দেশ ও বিশ্ববাসীর জন্য মঙ্গলজনক।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন।

প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসের রিজভী, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. তছলিম উদ্দিন, যুক্তরাজ্যের ইস্ট কেন্ট হসপিটালস ইউনিভার্সিটির নিউরো-রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাকেল।

মূল প্রবন্ধকার হিসেবে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামসুল আহসান, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রায়হান মাসুম মণ্ডল।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অটোল্যারিংগোলজি হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ।

এমইউ/জেডএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।