টানা দ্বিতীয় দিনে শনাক্ত ১৮ শতাংশের বেশি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ০২ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দুই দিন শনাক্ত হলো ১৮ শতাংশের বেশি।
গতকালও (১৮ জুন) শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর আগের দুই দিন শনাক্তের হার ছিল যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া নিয়মিত করোনা পরিস্থিতির তথ্য বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গত বছরের শেষ দিকে করোনা ‘কিছুটা নিয়ন্ত্রণে’ এলেও চলতি বছরের শুরু থেকে পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে থাকে।
পরিস্থিতি খারাপ হতে হতে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) জারি করা হয়।
তবে এপ্রিল মাসের শেষ দিক থেকে সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি হতে থাকে। এরপর মে মাসের শেষ দিক পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে আক্রান্ত এবং মৃত্যু পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যায়। এরপর লকডাউন শিথিল করা হলেও বিধিনিষেধে নানান শর্ত আরোপ করে তা এখনও বহাল রয়েছে।
এর মাঝেই গত ৮ মে দেশে প্রথম করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
এরপর গত কয়েকদিনে সারা দেশেই পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে।
গত ৪ জুন আইইডিসিআর জানায়, দেশে সংক্রমণের ৮০ শতাংশই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে। ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রমাণ পাওয়া যায় ওই গবেষণায়। পাশাপাশি দেশে অজানা একটি ভ্যারিয়েন্টও শনাক্ত হয়।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ তথ্য জানায়।
এমএইচআর/জিকেএস