ঢাকার চেয়ে খুলনায় শনাক্ত তিনগুণ, মৃত্যু দ্বিগুণের বেশি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর উপত্যকা হয়ে উঠেছে খুলনা বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় রোগী শনাক্তের হার ঢাকা বিভাগের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি এবং সেখানে দ্বিগুণেরও বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আটটি বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি ৫২৮টি ল্যাবরেটরিতে ২৫ হাজার ৩৩৮টি নমুনা সংগ্রহ এবং ২৫ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৯টি। এই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ৮৪৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট ২৫ হাজার ২৮টি নমুনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ হাজার ৭৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৯৬৭ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই সময়ে ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৪ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ৬১৫টি নমুনায় এক হাজার ৫৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৯১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৬৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৭৪৬টি নমুনায় এক হাজার ২৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
খুলনা বিভাগে দুই হাজার ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৯৯৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে ৬৪৯টি নমুনায় ১১৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৭ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, রাজশাহীতে ১৪ জন, বরিশালে দুইজন, সিলেটে তিনজন এবং রংপুর বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস