সকালে কড়াকড়ি, বিকেলে যান-জনচলাচল বেড়েছে মিরপুরে
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর মিরপুর এলাকার মূল সড়কগুলোতে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি অনেক কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহন ও মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। অলিগলিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষকে মাস্ক ছাড়াই আড্ডা দিতে দেখা গেছে। চায়ের দোকানগুলোতে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল হতেই মিরপুরের সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। কারণে-অকারণে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন রাস্তায়। অনেকেই আবার ঘুরেছেন রিকশায়। মিরপুরের বিভিন্ন চেকপোস্টে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও রিকশার যাত্রীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাদের।
মিরপুর মডেল থানার সামনে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিত করতে সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন চার পুলিশ সদস্য। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সেখান থেকে যাওয়ার সময় একটি প্রাইভেটকারকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় গাড়িটি ঘুরিয়ে দেয়া হয়।
লকডাউন দেখতে রিকশা নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন মিরপুরের নেভি কলেজের কয়েকজন ছাত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে বাইরে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ জানাতে না পারায় কিছুক্ষণ আটকে রেখে সতর্ক করে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
টেকনিক্যাল মোড়ের চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও অকারণে বের হওয়া অনেক গাড়ি ফিরিয়ে দেন। এ সময় কোনো কোনো গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলাও করা হয়।
মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেট, অলিগলি, ছোট সড়কে লোকজনকে খোশগল্প করতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। মাঝে মাঝে এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি দেখলে দ্রুত সরে পড়েন তারা। টহল দল চলে যাওয়ার পর আবারও তারা ফুটপাতে এসে জড়ো হন।
রাব্বি নামে এমনই এক যুবককে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘পরিস্থিতি বোঝার জন্য রাস্তায় এসেছি।’
মিরপুর-৬ নম্বরে চলন্তিকা বস্তিতে গিয়েও দেখা যায় মানুষের জটলা। অলিগলির সড়কে লোকজনের ভিড়। তবে ওই এলাকার মূল সড়কে যানবাহন বা মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মূল সড়কে চলছে রিকশা ও মোটরসাইকেল। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও বের হয়েছেন অনেকে।
এদিন মিরপুরের সড়কগুলোতে অন্যান্য দিনের মতো গণপরিবহনের চলাচল চোখে পড়েনি। তবে রিকশার আধিক্য ছিল। কিছু কিছু মোটরসাইকেলও ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করেছে।
এমএইচএম/এসএস/জিকেএস