বৃষ্টিতে ঢিলেঢালা লকডাউনের দ্বিতীয় দিন
দেশে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ। চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত। শুক্রবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সড়কে মানুষ ও ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি কম। অন্যদিকে রিকশা ছিল ব্যাপক। তবে সকাল থেকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে চেকপোস্টে পুলিশ থাকলেও তৎপরতা ছিল কম।
মিরপুর ১০, ২ ও ১ নম্বর ঘুরে এমন অবস্থা দেখা গেছে। অফিস ও ব্যক্তিগত কাজে যারা বেরিয়েছেন তাদের চেকপোস্টের মুখোমুখি হতে হয়নি। মিরপুর ১০ নম্বরে গোল চত্বরে একাধিক চেকপোস্টে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়িকে অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে। একই অবস্থা মিরপুর ২ ও মিরপুর ১ নম্বরে।
এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি সড়কগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের পেট্রোলিং করতে দেখা গেছে। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলও সড়কে চলছে।
দুপুর ১২টায় মিরপুরের বাসিন্দা সানজিদা ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল খুঁজছিলেন। পরে ৩০০ টাকায় একটি মোটরসাইকেল পেয়ে যান।
তিনি বলেন, ৪০০ টাকার নিচে মোহাম্মদপুর যেতে চাচ্ছে না। কি অবস্থা দেখেন। সাড়ে ৩০০ টাকায় রাজি হলো। আরেক মোটরসাইকেলে দুই যাত্রীকে সাভার যেতে দেখা যায়। তারা আপডাউন ২ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়েছেন বলে মোটরসাইকেলচালক শাহিন জানায়।
তিনি আরও বলেন, চেকপোস্ট দেখলে যাত্রীদের নামিয়ে দেই। পরে আবার উঠাই। আর মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত হেলমেট রাখি না। এভাবেই চলছি।
পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কে যারা চলাচল করছেন বেশিরভাগই অফিস ও হাসপাতালের কাজে বেরিয়েছেন। আর বের হয়ে ভাড়া বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। বৃষ্টি ও লকডাউনের সুযোগে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া চাইছেন বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
কাউকে গ্রেফতার বা জরিমানা করা হয়েছে কিনা চানতে চাইলে মিরপুর ১০ নম্বরের চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ফরহাদ জাগো নিউজকে বলেন, চেকপোস্ট চলমান আছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউন বাস্তবায়নে এবার সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস সাত দিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।
চলমান লকডাউন অমান্য করে প্রথমদিন অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে রাজধানীতে পুলিশের আটটি বিভাগ অভিযান পরিচালনা করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালানো এসব অভিযানে ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানানো হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি বিভাগের ৫১টি থানা এলাকায় বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করেছে। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৩৯১ জনকে।
আর লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের ও দোকানপাট খোলা রাখায় ৫১টি মামলায় ৫১ হাজার ২০০ টাকা টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এসএম/এমআরএম/এমএস