কঠোর লকডাউনের তৃতীয়দিনেও ফাঁকা রাজধানীর সড়ক
কঠোর লকডাউনের তৃতীয়দিনেও রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কই ফাঁকা। সরকারি নির্দেশনা মেনে সড়কে বের হয়নি সাধারণ মানুষ। শুধুমাত্র জরুরি সেবার আওতায় অ্যাম্বুলেন্স, স্বল্পসংখ্যাক প্রাইভেট পরিবহন, পিকআপ ও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পল্টন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসময় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সবগুলো স্পটে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। কয়েকটি স্পটে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে।
রাজধানীর বাংলামোটরে তাজুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালক জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষ নেই, ক্ষ্যাপও (ভাড়া) নেই। সকাল থেকে মাত্র একটা ক্ষ্যাপ পাইছি। ’
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই থেকে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরিসেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে যারা চলাচল করতে পারবেন তারা হলেন—আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন।
এসইউজে/এএএইচ/জিকেএস