টিকার আওতায় আসছে বন্দরের ১২ হাজার কর্মচারী
সমুদ্র বন্দর ও স্থল বন্দরের ১২ হাজার কর্মচারী করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আসছেন বলে জানিয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ-সেক্টরে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমুদ্র ও স্থলবন্দরে ঝুঁকি নিয়ে করোনা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দিচ্ছে কর্মচারীরা। সাপ্লাই চেইনটা তারা অব্যাহত রাখছে। প্রথমবার যখন লকডাউনে বেসরকারি একটি সংস্থা তাদের খাবারও সরবরাহ করেছে। যারা জাহাজে ছিল তাদের নামতেও দেয়া হত না। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এই সেক্টরে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে চট্টগ্রামে ১৫ জন মারা গেছেন, অনেকে অসুস্থও ছিলেন। সেখানে ডেডিকেটেড হাসপাতালও করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবারই যখন প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল আমরা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়েছিলাম তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য। তারা পেছন থেকে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছি। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দর এবং আমাদের স্থল বন্দরের যারা কাজ করছে যাদের তালিকা আছে তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এখানে সব দক্ষ লোকজন কাজ করে, তারা আক্রান্ত হলে আমাদের কাজগুলো কঠিন হয়ে যাবে।
তিনি জানান, আমরা আগাীং বুধবার থেকে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছিল তারা কিন্তু ঝুঁকিমুক্তভাবে কাজ করতে পারবে। সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে কেউ বাদ পড়বে না। আমরা প্রথম পর্যায়ে ১২ হাজারের জন্য ভ্যাকসিন আনব।
তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমটি চলমান থাকবে। প্রচুর পরিমাণে ভ্যাকসিন আসছে, আমরা গর্ব করেই বলতে পারি সারা পৃথিবীতে যখন কেউ ভ্যাকসিন পাচ্ছিল না কিন্তু প্রথম ৩০টি দেশের মধ্যে আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি, যেটা অনেকে পায়নি। তাই ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এই ভ্যাকসিন নাবিক, শ্রমিক সবাই টিকা পাবে। ভ্যাকসিনের কোনো সমস্যা নেই।
আইএইচআর/এমআরএম/জেআইএম