বিএসএমএমইউ কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টার পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সেখানে করোনা হাসপাতাল চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় মুখ্য সচিবের পরিদর্শনকালে তাকে করোনা হাসপাতাল তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এর আগে ১০ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে সেখানে করোনা হাসপাতাল চালুর ঘোষণা দেন।
মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতাল চালুর জন্য অতি দ্রুততার সঙ্গে আইসিইউ ও এইচডিইউ বেড, সাধারণ শয্যা স্থাপনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় উপাচার্য জানান, প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
ড. আহমদ কায়কাসের পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে ১১ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৬১ হাজার ৮ শত ১৩ জনের করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪ শত ৯৫ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে রোববার ১ হাজার ১৫২ জনসহ এ পর্যন্ত পর্যন্ত ফাইজারের ৫ হাজার ৭ শত ৪২ জনসহ প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৩২ জন এবং গত ৭ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ২১৬ জন।
কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টারে রোববার পর্যন্ত ১০ হাজার ১৯২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ হাজার ৬৪৪ জন। বর্তমানে করোনা সেন্টারে ভর্তি আছেন ১৮১ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন।
এমইউ/ইএ/এএসএম