করোনা শনাক্তের হার ১০.৭৬ শতাংশ
আজও দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) শনাক্তের হার ১০ শতাংশে। তবে গতকালের (বৃহস্পতিবার) চেয়ে আজ শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। আজ (শুক্রবার) শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৪৭৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৯ হাজার ৪৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯০ লাখ ২১ হাজার ১০২টি।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ১৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১০ হাজার ২৮৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ৬৯৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৮২ জন।
মৃত ৭০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৪ ও নারী ৩৬ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৫৭, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ এবং বাড়িতে ৩ জনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৭০ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ২১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১৪ জন এবং আশির্ধ্ব চারজন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় মৃত ৭০ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ৪ জন, খুলনায় ১২ জন, বরিশালে ৪ জন, সিলেটে ৮ জন এবং রংপুরে ৩ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ধীরে ধীরে জনজীবন আগের মতো সচল হচ্ছে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে এবং তা পরপর চার সপ্তাহ অব্যাহত থাকলে দেশ করোনামুক্ত বলা যায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে টিকাদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি (মুখে মাস্ক পরিধান, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় চলা ইত্যাদি) মেনে চলতে হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
জেএইচ/এএসএম