নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম পরিচালনায় নতুন আইন পাস
নোয়াখালীতে স্থাপিত গান্ধী আশ্রমের পরিচালনায় পুরনো আইন বাতিল করে নতুন আইন পাস হয়েছে। নতুন এ আইন অনুযায়ী গান্ধী ট্রাস্ট একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। আশ্রমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও হস্তান্তর বোর্ডের কাছে থাকবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ছয়জন ট্রাস্টিকে সরকার মনোনয়ন দেবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
শনিবার ( ৪ জুলাই) সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড) বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করার পর তা পাস হয়। এর আগে গত ৩ জুলাই এই বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে তা ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সামরিক শাসনামলের ‘দ্য গান্ধী আশ্রম বোর্ড অব ট্রাস্টি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৫’-এর বাংলায় আইন নতুন করে বিলটি আনা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, ‘বোর্ড জনসাধরণকে শান্তি ও সম্প্রীতিতে জীবনযাপনসহ সাবলম্বীকরণ সংক্রান্ত কাজ করবে। বোর্ড সুতাকাটা, বুনন, মৎস্যচাষ, কুঠির শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিধবা-এতিম-দুস্থদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ এসব কাজ করবে।’
বোর্ডের একটি তহবিল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারসহ অন্যান্য উৎস থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি-বিজড়িত এই ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন গান্ধী আশ্রমটি পরিচালনা করার স্বার্থে প্রস্তাবিত আইনে নতুন কোনো বিধান না এনে কেবল পূর্ববর্তী অধ্যাদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট-এর গঠন ও কার্যক্রমকে চলমান রাখতে বিলটি আনা হয়েছ।’
এইচএস/ইএ/এএসএম