‘প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করতে হলে আগে প্রত্যেকটি ট্যুরিস্ট স্পটের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি মো. ইলিয়াছ শরীফ।

তিনি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আমাদের যেই মাস্টারপ্ল্যানই হোক, সেখানে যেন নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে ‘পর্যটন গন্তব্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, পুলিশ সুপার (প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশন) সরকার নুরুল আমিন।

ডিআইজি ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ২০১৩ সালে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়। পর্যটক ও পর্যটক স্পটের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশকে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের দরকার একটি স্মার্ট ডেসটিনেশন। নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকলে বাংলাদেশের পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হবে। সামাজিক নিরাপত্তায় যেমন কমিউনিটির দায়িত্ব আছে, তেমনি পর্যটন খাতে আগ্রহ, নিরাপত্তা বাড়াতে স্থানীয় কমিউনিটির দায়িত্ব আছে।

পর্যটনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশের পর্যটন খাত। এ খাতের সুরক্ষা, উত্তরোত্তর উন্নতি ও পর্যটনবান্ধব কার্যক্রম বৃদ্ধিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, মাত্র এক হাজার ৪০০ জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়ে আমাদের বিস্তৃত পর্যটন এলাকা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। এটা বাস্তবে কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে কমিউনিটিকে সংযুক্ত করলে অনেকটা সহজ হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।

বিদেশি পর্যটকদের চাহিদার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যটকরা পুলিশের নিরাপত্তা পছন্দ করেন না। এতে তারা অস্বস্তি বোধ করেন। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আমাদের দেশে-বিদেশি পর্যটক যারা আসেন, তাদের মূল আকর্ষণ হলো পার্বত্য অঞ্চল। এসব জেলাগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের অনুমতি নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন। ৭-১০ দিন লেগে যায় একটি গ্রুপের অনুমতি নিতে। কখনো কখনো অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনুমতির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অনলাইনে ব্যবস্থা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (পর্যটন) তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, আজ আলোচনায় বেশকিছু বিষয় উঠে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সময় উপযোগী পর্যটন সংক্রান্ত ও বিধির সংশোধন। আমরা এটা নিয়ে ভেবেছি। কাজ করছি। কীভাবে বিদ্যমান আইনকে উপযোগী ও বিধি সংশোধন করে হালনাগাদ করা যায়।

তিনি বলেন, পর্যটন খাতের প্রত্যেকটি সমস্যার সঠিক কারণ আগে খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেটির দ্রুত সমাধানে কাজ করতে হবে। ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড নিবন্ধন আইন অনুমোদিত হয়েছে ২০২১ সালে। দুটি বিধিমালা তৈরির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য কাজ করছি। আশা করছি এটি দ্রুতই হবে। আমরা চেষ্টা করছি, এক ছাতার নিচে সব নিবন্ধনের কার্যক্রম নিয়ে আসার জন্য।

টিটি/আরএডি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।