বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: চীনা কূটনীতিক
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বর্তমানে খুব ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান বলে মনে করেন ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের সংস্কৃতি বিষয়ক কাউন্সেলর লিউয়েঁ ইউ।
তিনি বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে খুব ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান। চীন পারস্পরিক মর্যাদা ও সমতার ভিত্তিতে এই সম্পর্ককে দেখে থাকে। আশা করি, আগামী দিনে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেগুনবাগিচার কচি কাঁচার মেলা মিলনায়তনে ‘অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’- শীর্ষক আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক একাডেমি এবং অতীশ দীপঙ্কর রিসার্চ সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে এই সভা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। একই সঙ্গে নিকটতম প্রতিবেশী। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে। জনগণ চায়- বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে চীন সহযোগিতা করুক।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সমস্যা এখন প্রকট। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট তো রয়েছেই। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ-চীন সাংস্কৃতিক একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারীসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এমএইচআর/এমএস
