থমকে আছে খুকৃবির কার্যক্রম


প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সংসদে বিল পাস হওয়ার পর সাত মাস পার হলেও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত না আসায় নিয়োগ হয়নি প্রকল্প পরিচালক। আর এজন্য নেয়া হয়নি অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ।

জানা গেছে, খুলনায় পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে যেমন প্রসার ঘটবে তেমনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও একটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে। কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার প্রসার এবং কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে উন্নত শিক্ষাদান, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর এবং দেশীয় কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থে খুলনা অঞ্চলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনার খালিশপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর নগরীর দৌলতপুরের কৃষি সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অব্যবহৃত ৫০ একর জমি এবং পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ১২ একর জমি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রাথমিক পরিকল্পনা নেয়া হয়।

মন্ত্রিসভায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদনের পর তা পাসের জন্য সংসদে পাঠানো হয়। কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা, সমতা অর্জন ও জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে সুনির্দিষ্ট বিধিসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয় স্থাপনের বিধান রেখে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গত বছরের ৫ জুলাই সংসদ অধিবেশনে ‘খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৫’ পাসের জন্য উত্থাপন করেন এবং তা অনুমোদন পান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) জানান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলনায় স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে এখনও ভাইস চ্যান্সেলর বা প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, যিনি ভাইস চ্যান্সেলর হবেন তাকেই প্রকল্পের পরিচালক করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসলে প্রকল্পের পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু তা কবে নাগাদ হতে পারে তা কেউ বলতে পারছেন না।

খুলনা মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, খুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কৃষি শিক্ষার সুযোগ পাবে। এখান থেকে নেয়া টেকনোলজি আমাদের কৃষকদের নানা উপকারে আসবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষির জন্য রয়েছে স্বল্প সিট। ফলে শিক্ষার্থীদের ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বাইরে গিয়ে লেখাপড়া করতে হয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।