নগরের জন্য জলবায়ু তহবিল গঠনের আহ্বান মেয়র আতিকের
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা, খরা, নদী ভাঙন, লবণাক্ততা প্রভৃতির কারণে বিপুলসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নিরাপদ জীবনের খোঁজে প্রতিদিন রাজধানীতে আসছেন। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মানুষ ঢাকায় আসছেন। শহরের মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এছাড়া ঢাকা নিজেই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকার বাসিন্দা ও আগত অভিবাসীদের রক্ষা করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজনের বিনিয়োগ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা বিষয়ক সম্মেলনে (কপ২৭) এক প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন আতিক।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘মোট জলবায়ু তহবিলের অন্তত ৫০ শতাংশ ঢাকার মতো ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোকে দিতে হবে, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করতে হবে এবং তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করতে হবে।’
উদ্বাস্তুদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরে চলে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য উন্নত দেশ ও দাতাসংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিস্থিতি বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে গ্রিন জব তৈরিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ মিলিয়নেরও বেশি জলবায়ু-সহনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে।’
সবশেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের মেয়র, সি-৪০ সিটিসের ভাইস-চেয়ার এবং মেয়রস মাইগ্রেশন কাউন্সিলের লিডারশিপ বোর্ডের সদস্য হিসেবে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। খাল এবং জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধার করছি। খেলার মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করেছি। বৃক্ষরোপণ করছি। ইউনাইটেড ইন বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধীনে সি-৪০ সিটিস ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃত হয়েছে। সবুজ স্থান সম্প্রসারণের প্রতি আমাদের দৃষ্টি এবং প্রতিশ্রুতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একটি সবুজ, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বসবাসযোগ্য শহর গড়ে তোলা হচ্ছে।’
এমএমএ/এমএএইচ/এমএস