রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বিশাল বোঝা: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪২ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দেশ এবং তারা সে দেশের অধিবাসী। কিন্তু তারা এখন খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে আমাদের জন্য বিশাল বোঝায় পরিণত হয়েছে। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। এখন তাদের নিজ দেশে চলে যাওয়া উচিত।’

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে চীনা রাষ্ট্রদূতও আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আগামী বছর নিজ দেশে যাওয়া শুরু করবে।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন আলোচনার বিষয় তুলে ধরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে কয়েকটা মেগা প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেলে বিনিয়োগ করায় চীনকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় মানবতা, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং শান্তি বজায় রাখায় বিশ্বাস করে। ফলে বাংলাদেশ সব সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদ সম্পন্ন করায় অভিনন্দন জানান এবং তার পরবর্তী দায়িত্ব পালনে সফলতা কামনা করেন। বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চমাত্রায় নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখায় লি জিমিংকে ধন্যবাদ দেন।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একমাত্র আপনার জন্য এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে সমর্থন অব্যাহত রাখায় চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ী মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

এসইউজে/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।