দুই স্কুলছাত্র খুন : আদালতে দুই আসামির জবানবন্দি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অপহরণের পর দুই স্কুলছাত্রকে খুনের ঘটনায় আরও ২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিরা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার শশধরপট্রি গ্রামের মমরেজ মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৩) ও ধামরাই উপজেলার চর চৌহাট গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে শাহিনুর ওরফে শাহা (৩০)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা সন্ধায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম ও অঞ্জন দত্ত তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এর আগে এই খুনের ঘটনায় গত ১ ফেব্রুয়ারি মিল্টন ও ৪ ফেব্রুয়ারি বাহাদুর নামে দুই আসামি টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (মির্জাপুর) আদালতের বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতের সিনিয়র বিচারক সানজিদা সরোয়ার তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি ধামরাই উপজেলার চর চৌহাট গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বালিয়া ব্র্যাক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাকিল ও একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে ইমরানকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যার পর মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের লেবু বাগানে দুই ছাত্রের লাশ ফেলে রাখে। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ ওই লেবু বাগান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেন।
পরে নিহত স্কুলছাত্র শাকিলের মা মোছা. জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মির্জাপুর থানা পুলিশ ও টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শহিদুল নামে অপর এক আসামি জেল হাজতে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানার ফ্যান্টাসি কিংডম এলাকা থেকে জহিরুল ইসলাম ও শাহিনুর ওরফে শাহাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে সন্ধ্যায় বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ খুনের ঘটনায় ৮ জন জড়িত রয়েছে বলে এসআই শফিকুল আলম জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মাহফীজ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বিভিন্ন সময়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর এক আসামি জেল হাজতে রয়েছে বলে তিনি উলেখ করেন।
এমএএস/পিআর