বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিনে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
![বায়ুদূষণ কমাতে অত্যাধুনিক মেশিনে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/dncc1-20230123152948.jpg)
বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস হচ্ছে ধুলোবালি। আর এ ধুলোবালি নিবারণে অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দুটি স্প্রে ক্যানন।
ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দুটি ভাগে ভাগ করে একদিন অন্তর অন্তর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এমন দু’টি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে বনানী নেভি গেইট থেকে স্প্রে কাজ শুরু করে ক্যানন-১। রাজধানীর এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে বনানী কবরস্থান এলাকায় এসে কাজ হয় স্প্রের কাজ। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করা যায়।
অন্যদিকে, ক্যানন-২ মিরপুর রোড সিগন্যাল থেকে শুরু করে স্প্রের কাজ। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় স্মরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে শেষ হয় পানি ছিটানোর কাজ।
মহাসড়ক ছাড়া ডিএনসিসি এলাকার অন্যান্য সড়কগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজারের (পানির গাড়ি) সাহায্যে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার পানি ছিটানো হয়। শীতকালে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানি ছিটানোর কাজ চলমান থাকবে।
নির্মাণাধীন সড়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি পরিমাণ পানি ছিটানো হয়। এছাড়া অন্যান্য সংস্থা এবং মেট্রোরেল, র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প, এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য চলমান প্রকল্প ও ভবন নির্মাণের সময় ধুলোবালি সৃষ্টি না হয়। সেজন্য সমন্বয় সভায় নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।
এমএমএ/এমএএইচ/এমএস