সাকার নিষিদ্ধ করে গেজেট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

অ্যাকুয়ারিয়ামের শোভাবর্ধক ও আবর্জনাভুক ‘সাকার’ মাছটি এখন দেশি মাছের জন্য হুমকি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনগতভাবে এই মাছটি আমদানি, উৎপাদন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃণাল কান্তি দে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর সাকার মাছ নিষিদ্ধ করতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০–এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধন প্রস্তাব প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে লিখিতভাবে দুই মাসের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃণাল কান্তি দে’কে জানানোর জন্য বলা হয়।

মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওই প্রাক–প্রকাশনায় উল্লিখিত দুই মাস সময় এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের ওপর প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সরকার ওই রুলসের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আইনের ১৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাকার মাছ কোনো ব্যক্তি আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, প্রকাশ ও অধিকারী হতে পারবেন না।

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকার সিলারিফর্মস (Siluriformes) বর্গের লোরিকারিডাই (Loricaridae) পরিবারের সাকার মাছের প্রজাতিগুলোর মধ্যে সাকার মাউথ ক্যাটফিশ (Sucker Mouth Catfish) এবং সেইলফিন ক্যাটফিশ (Sailfin Catfish) বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে হাইপোসটোমাস প্লিকোসটোমাস (Hypostomus plecostomus) এবং পিটারিগোপ্লিসথিস পারডালিস (Pterygoplichthys pardalis) প্রজাতি দুটি এদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। আমাদের দেশে ‘সাকার’, ‘প্লেকো’ এবং স্থানীয়ভাবে ‘চগবগে’ নামেও পরিচিত। মাছটি বর্তমানে উন্মুক্ত জলাশয় ও চাষের পুকুরে পাওয়া যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। স্বাদু পানির এ মাছটি শ্যাওলা পরিষ্কারক বাহারি মাছ হিসেবে সাধারণত অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহার করা হয়।

আইএইচআর/আরএডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।